সাভার থেকে মোঃ আরিফ মন্ডল ঃ
আশুলিয়ার ভাদাইলের সাধুমার্কেট এলাকা থেকে অপহৃত সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থী কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। রবিবার বিকাল ৩টার দিকে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) রাম কৃষ্ণ দাস অপহৃতকে জীবিত উদ্ধারসহ অপহরণকারীকে আটক করেন।
অপহৃতের পিতা ও মামলার বাদী এই প্রতিবেদককে বলেন,আমার নাবালিকা মেয়ে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানাধীন গ্লোরিয়াস মডেল হাই স্কুলের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী। দীর্ঘ দিন ধরেই বখাটে মারুফ আমর মেয়েকে উত্যক্তসহ রাস্তায় যাতায়াতকালে র্বিক করতো। এসব ঘটনায় বারবার তার অভিভাবককে অবহিত করলেও কোন প্রতিকার পাইনি।
গত ৩১ জুলাই বিকাল ৫টার দিকে মারুফ ও তার সহযোগী রাশেদ সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেট কারে আমার মেয়েকে তার বিরুদ্ধে তুলে নিয়ে যায়। এঘটনার পর আমি আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুৃলিশ মুঠোফোনের কলের অবস্থান ও তালিকা ধরে কক্সবাজার সী নাইট নমের রিসোর্ট থেকে রবিবার বিকালে উদ্ধার করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) রাম কৃষ্ণ দাস বলেন, গত ৩১ জুলাই বিকাল ৫ ঘটিকার সময় ভাদাইল এলাকার জহিরুল ইসলামের মেয়ে সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে একই জেলার ধামরাই থানার বাথুলী গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে মারুফ (১৮)।
অপহৃতের পিতা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ২০০০ সালের (সংশোধনী-০৩) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ দায়ের করলে আমরা মুঠোফোনের আধূনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপহৃত ও অপহরণকারীর অবস্থান সনাক্তের পর অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেই। আশুলিয়া থানার অফিসার ইচার্জের নির্দেশ ও দিক নির্দেশনায় কক্সবাজারের সী নাইট রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে রবিবার বিকাল ৩টার দিকে অপহৃতকে জীবিত উদ্ধার করেছি।
পাশাপাশি অপহরনকারী মারুফকেও সেখান থেকে গ্রেফতার করি। সোমবার ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ২২ ধারায় অপহৃতার মৌখিক জবানবন্ধীর জন্য প্রেরন করা হয়েছে। উক্ত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে অপহরনকারীকেও আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।